আপনি জানেন কি?- বাংলাদেশে প্রতিবছর
রোটাভাইরাল ডায়রিয়া
এর কারণে প্রায় ৯৮৫৭ শিশুর মৃত্যু হয়।
রোটাভাইরাল ডায়রিয়ার কারণে পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৪ লক্ষ ৫৩ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়। ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সী শিশু এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয় এবং জন্মের পর প্রথম ৩ বছরের মধ্যে প্রায় সকল শিশু কমপক্ষে ১ বার এ রোগে আক্রান্ত হয়।
কিভাবে শিশুরা আক্রান্ত হয়?
রোটাভাইরাস প্রধানত মুখ গহ্বর দিয়ে খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে।
সাধারণত সংক্রমিত পানি, খাবার, খেলনা, এমনটি বিভিন্ন আসবাবপত্র থেকেও এই রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে।
কি হয়?
রোটাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ১-৩ দিনের মধ্যে এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়:
প্রথমে শুরু হয় জ্বর ও বমি, এর পর ধীরে ধীরে পানির মত ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা। খুব কম সময়ের মধ্যে ডায়রিয়া তীব্র আকার ধারণ করে এবং পানি শূন্যতা এত বেশি হয় যে, শিশু খুব দ্রুত দুর্বল হয়ে পরে। অনেক সময় শিশুকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়, এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।
এছাড়া অনেকক্ষেত্রে আক্রান্ত শিশুর ক্ষুধামন্দা, পেটব্যাথা, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি দেখা যায়। লক্ষণগুলো সাধারণত ৫-৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
চিকিৎসা
পানি শূন্যতা পূরণ করার জন্য ঘন ঘন খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
শিশুর পানিশূন্যতা বেশি হলে এবং মুখে স্যালাইন না খেতে পারলে হাসপাতালে বা ক্লিনিকে ভর্তি করে শিরাপথে স্যালাইন দিয়ে পানিশূন্যতা পূরণ করতে হবে।
অন্যান্য লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে
প্রতিরোধ
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন, আপনার শিশু যে সমস্ত জিনিসপত্র ব্যবহার করে সেগুলো সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
শিশু যে সমস্ত খেলনা নিয়ে খেলা করে, তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং আপনার হাত, এমনটি খাবার তৈরী করার স্থান সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
শিশুদের ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো।
(তবে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা রোটাভাইরাস প্রতিরোধে যথেষ্ট নয়)
শিশুকে রোটাভাইরাসের টিকা খাওয়ানো।
রোটাভাইরাল ডায়রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন